অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ার শাহাজাহানপুরে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য জীবন্ত অবস্থায় ‘কবরে’ ১০ ঘণ্টা কাটিয়েছেন মিজানুর রহমান রনি (২৪) নামে এক ইউটিউবার। আর এই কাজে তাকে সহায়তা করেছেন তার সহোদর মিলন (২৬)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

খবর পেয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রাম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা ওই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। রনি তিনি চাপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের ছাত্র।

পুলিশের দাবি, আটক দুই ভাই জীবন্ত অবস্থায় কবরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভিডিওর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করার জন্য এই কাজ করেছেন। এ সময় নিজ বাড়ির উঠানে খোঁড়া কবরে ১০ ঘণ্টা কাটিয়েছেন রনি।

স্থানীয়রা জানান, আটক দুই ভাই নিজেদের বাড়ির উঠানেই খবর খনন করেন। রোববার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ক্যামেরা ও পানির বোতলসহ রনি কবরে ঢোকেন। তার বড় ভাই মিলন মাটি চাপা দিয়ে কবরের ওপরের অংশ ঢেকে বাইরের দৃশ্য ভিডিও করেন। অক্সিজেন ও আলো-বাতাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য কবরের সঙ্গে পাইপ সংযুক্ত করা হয়। ছিল বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফ্যানের ব্যবস্থাও।

সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি সমালোচনাও শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রনি ও তার বড় ভাই মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, রনি অনেক আগে থেকেই তার ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করেন। তিনি এর আগে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত হেঁটে ভ্রমণ করেছেন।

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান জানান, রনি একজন ইউটিউবার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছে, কবরের অভিজ্ঞতা ভিডিও করে ইউটিউবে পোস্ট করার জন্য তিনি এ কাজ করেছেন। তাদের দুই ভাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহজনক কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।